ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্র ৫ম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর

ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্র ৫ম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর: কর্মীসংস্থান বলতে কর্মী সংগ্রহ বা যোগাড় করাকে বোঝায়। প্রকৃত অর্থে কর্মীসংস্থান বলতে কর্মী সংগ্রহের পাশাপাশি কর্মী নির্বাচন, নিয়োগ, উন্নয়ন, মূল্যায়ন, পদোন্নতি ও অবসায়নসংক্রান্ত যাবতীয় কাজকেই বোঝায়।

কর্মীসংস্থানের মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে বসানো হয়। প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনে যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, মূলধনসহ যাবতীয় উপকরণের সর্বোচ্চ ব্যবহার নির্ভর করে দক্ষ কর্মীদের ওপর। তাই কর্মীসংস্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত ও দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়।


ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্র ৫ম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন-১. কর্মীসংস্থান ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা করো।
অথবা, কর্মীসংস্থান বলতে কী বোঝায়? 

উত্তর: প্রতিষ্ঠানের জন্য দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মী সংগ্রহ, নির্বাচন, নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের কাজকে কর্মীসংস্থান বলে। ব্যবস্থাপনার উপকরণসমূহের মধ্যে জনশক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জনশক্তি যোগ্য, দক্ষ ও উৎসাহী না হলে অন্য উপাদানগুলো মানসম্পন্ন হলেও কাজে লাগানো যায় না। তাই প্রতিষ্ঠানের জন্য দক্ষ ও যোগ্য কর্মীবাহিনী গঠনের প্রয়োজন হয়। এটি ব্যবস্থাপনার কর্মীসংস্থান কাজের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। এ কারণে কর্মীসংস্থান ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন-২. মানবসম্পদ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: মানবসম্পদ বলতে মানসম্মত ও দক্ষ জনসংখ্যাকে বোঝায়। একটি প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে করতে হলে কর্মীদের কাজের দক্ষতা, যোগ্যতা, সক্ষমতা, প্রতিভা থাকা দরকার। কর্মীদের এই গুণাবলিকে আর্থিকভাবে মূল্যায়ন করা যায়। তাই এগুলো মানবসম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। মানবসম্পদ-ই হলো একটি প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকাশক্তি।

প্রশ্ন-৩. মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা কী? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: প্রতিষ্ঠানে দক্ষ কর্মীদল গঠন ও দীর্ঘদিন রাখার লক্ষ্যে কর্মী নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন, মূল্যায়ন প্রভৃতি কাজের মাধ্যমে তাদের জ্ঞান, দক্ষতা ও যোগ্যতা ব্যবহার করার কৌশলকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বলে।

এর মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের যোগ্যতাকে যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন করা। প্রতিষ্ঠানে দক্ষ উপায়ে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা করা গেলে সহজে লক্ষ্য অর্জন করা যায়।

প্রশ্ন-৪, ‘মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকাশক্তি’- ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: প্রতিষ্ঠানে দক্ষ কর্মী গঠন ও দীর্ঘদিন রাখার লক্ষ্যে কর্মী নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন ও মূল্যায়ন প্রভৃতি কাজের মাধ্যমে তাদের জ্ঞান, দক্ষতা ও যোগ্যতা ব্যবহার করার প্রক্রিয়াকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বলে।

এর মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের যোগ্যতাকে যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন করা। যে প্রতিষ্ঠানে দক্ষ উপায়ে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা করা যায়, সেই প্রতিষ্ঠান ততো সহজে লক্ষ্য অর্জন করতে পারে। তাই সঠিকভাবে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনাকে প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

প্রশ্ন-৫. মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় কর্মীসংস্থান গুরুত্বপূর্ণ কেন?

উত্তর: মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কর্মীসংস্থান। মানব সভ্যতার শুরুতে দাস প্রথার প্রচলন ছিল। এরপর শ্রমিক, কর্মী ও সবশেষে মানবসম্পদ ধারণার প্রচলন হয়।

অর্থাৎ, কর্মী ব্যবস্থাপনা বা কর্মীসংস্থানের আধুনিক রূপ হলো মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা। কর্মীসংস্থান প্রক্রিয়ায় কর্মীদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের দিকে দৃষ্টি রাখা হয়। আর মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় কর্মী উন্নয়ন ও সংরক্ষণের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়। যেহেতু কর্মীসংস্থানের ভিত্তি হলো মানবসম্পদ, এজন্য মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় কর্মীসংস্থান গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন-৬, কর্মীসংস্থান ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনাকে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত মনে করা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
অথবা, ‘কর্মীসংস্থান ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত’- ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী সংগ্রহ, নির্বাচন, নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন প্রভৃতি কাজের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াকে কর্মীসংস্থান বলে। অপরদিকে কর্মী সংগ্রহ, নির্বাচন, প্রেষণা, প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন প্রভৃতি কাজের মাধ্যমে দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তোলা ও তাদের প্রতিষ্ঠানে ধরে রাখার কৌশলকে মানব সম্পদব্যবস্থাপনা বলে।

কর্মীসংস্থান ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা দুটি বিষয়ই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সাথে সম্পর্কিত। তবে কর্মীসংস্থানের আওতা অপেক্ষাকৃত ছোট। এটি কর্মী নিয়োগ ও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে। অন্যদিকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা কর্মী সংগ্রহ, উন্নয়ন ও কর্মীর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ হিসেবে গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে। এভাবে কর্মীসংস্থান ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।

প্রশ্ন-৭. কর্মী সংগ্রহ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: সম্ভাব্য চাকরি প্রার্থীদের আবেদন করতে ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করার প্রক্রিয়াকে কর্মী সংগ্রহ বলে। এ প্রক্রিয়ায় যথাসম্ভব বেশি সংখ্যক চাকরি প্রার্থীকে প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট পদে আবেদন করতে উৎসাহিত করা হয়। এতে সকল আগ্রহী প্রার্থীর আবেদনপত্র নেওয়া হয়। এ পর্যায়ে সাধারণত যোগ্যতা পূরণ হলে কোনো প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হয় না। তাই একে ইতিবাচক প্রক্রিয়া বলা হয়ে থাকে।

প্রশ্ন-৮. কর্মী সংগ্রহকে ধনাত্মক প্রক্রিয়া বলার কারণ ব্যাখ্যা করো।
অথবা, ‘কর্মী সংগ্রহ একটি ধনাত্মক/ ইতিবাচক প্রক্রিয়া’- ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করতে ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করার প্রক্রিয়াকে কর্মী সংগ্রহ বলে।

এ প্রক্রিয়ায় বেশি সংখ্যক চাকরিপ্রার্থীকে প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট পদে আবেদন করতে উৎসাহিত করা হয়। এতে সকল আগ্রহী প্রার্থীর আবেদনপত্র নেওয়া হয়। এ পর্যায়ে সাধারণত যোগ্যতা পূরণ হলে কোনো প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হয় না। তাই একে ইতিবাচক ‘প্রক্রিয়া বলা হয়ে থাকে।

প্রশ্ন-৯. কর্মী সংগ্রহ প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় পদক্ষেপটি ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: কর্মী সংগ্রহ প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় পদক্ষেপটি হলো উৎস নির্ধারণ।

কর্মী সংগ্রহের বিভাগীয় রিকুইজিশন বা চাহিদাপত্র পাওয়ার পর কোথা থেকে কর্মী সংগ্রহ করা যাবে, তা চিন্তা-ভাবনা করে উৎস নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক উৎস থেকে কর্মী সংগ্রহ করা হয়। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের মধ্য থেকে কর্মী সংগ্রহ করার ব্যবস্থা হলো অভ্যন্তরীণ উৎস। আবার, প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে কর্মী সংগ্রহ করা হলো বাহ্যিক উৎস।

প্রশ্ন-১০. কর্মী সংগ্রহের কোন পদ্ধতিটি উত্তম? ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: কর্মী সংগ্রহের জন্য বাহ্যিক পদ্ধতিটি উত্তম।

এর কারণ হলো বাহ্যিক উৎসের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে প্রথমে বেশি সংখ্যক কর্মী সংগ্রহ করা হয়। এরপর যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য লিখিত, মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠান অনেক প্রার্থীর মধ্য থেকে চাহিদা অনুযায়ী যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের সুযোগ পায়। তাই, কর্মী নির্বাচনে কর্মী সংগ্রহের বাহ্যিক পদ্ধতিটি উত্তম।

প্রশ্ন-১১. কর্মী সংগ্রহের অভ্যন্তরীণ উৎস কীভাবে ব্যয় হ্রাস করে? 

উত্তর: প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের মধ্য থেকে বা তাদের সুপারিশ কর্মী সংগ্রহের প্রক্রিয়া হলো অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে কর্মী সংগ্রহ। প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে কর্মী সংগ্রহ করা হলে বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা নিতে খরচ হয় না। আর নিয়োজিত কর্মীদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকায় তাকে নতুনভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হয় না। ফলে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত খরচের ঝামেলা থাকে না। এভাবে কর্মী সংগ্রহের অভ্যন্তরীণ উৎস ব্যয় কমিয়ে থাকে।

প্রশ্ন-১২, আউটসোর্সিং বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: চুক্তির মাধ্যমে নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা পক্ষকে দিয়ে কাজ করানোকে আউটসোর্সিং বলে। বর্তমানে আউটসোর্সিংকে একটি জনপ্রিয় পেশা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক ব্যক্তির কম সময়ের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়।

প্রশ্ন-১৩, কর্মী নির্বাচন বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: চাকরিপ্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক যোগ্য কর্মী বাছাইয়ের কাজকে কর্মী নির্বাচন বলে। এ প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনপত্র নেওয়া, বাছাই এবং লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রয়োজনে কর্মীদের যোগ্যতা, বুদ্ধিমত্তা প্রভৃতির পরীক্ষাও নেওয়া হয়। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত কর্মীকে বাছাই করে অবশিষ্ট চাকরিপ্রার্থীদের বাদ দেওয়া হয়। এভাবে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হয়।

প্রশ্ন-১৪. কর্মী নির্বাচনকে ঋণাত্মক প্রক্রিয়া বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
অথবা, ”কর্মী নির্বাচন একটি ঋণাত্মক/নেতিবাচক প্রক্রিয়া’- ব্যাখ্যা করো। 

উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের মধ্য থেকে কাঙ্ক্ষিত মানের বা সর্বোত্তম ও যোগ্য কর্মী বাছাই করা হয়, তাকে কর্মী নির্বাচন বলে। এ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধাপে লিখিত, মৌখিক ও বুদ্ধিমতা পরীক্ষার মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই-বাছাই করা হয়। কোনো ধাপে কোনো প্রার্থী অকৃতকার্য হলে, তাকে বাদ দেওয়া হয়। এভাবে কর্মী নির্বাচনের প্রতিটি ধাপেই কৃতকার্যদের রেখে অকৃতকার্য কর্মীদের বাদ দেওয়া হয়। এজন্যই বলা হয়, কর্মী নির্বাচন একটি ঋণাত্মক প্রক্রিয়া।

প্রশ্ন-১৫. কর্মী নির্বাচনের ক্ষেত্রে পূর্ব ইতিহাস অনুসন্ধান কেন গুরুত্বপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: সৎ ও আদর্শ কর্মী নির্বাচনের জন্য প্রার্থীর পূর্ব ইতিহাস অনুসন্ধান করা হয়।

কর্মী নির্বাচনের প্রক্রিয়ার একটি ধাপ হলো প্রার্থীর পূর্ব ইতিহাস অনুসন্ধান। প্রার্থীর অতীত তথ্য অনুসন্ধানের মাধ্যমে তার নৈতিক মূল্যবোধ ও আত্মমর্যাদা সম্পর্কে জানা যায়। এ পর্যায়ে প্রার্থী সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক তথ্য পাওয়া গেলে কর্তৃপক্ষ তার প্রার্থিতা বাতিল করে থাকে। মূলত সৎ চরিত্রের প্রার্থী নির্বাচনের জন্যই ব্যক্তিগত খোঁজ-খবর করা প্রয়োজন। এতে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বজায় থাকে।

প্রশ্ন-১৬. ব্যক্তিত্ব পরীক্ষা বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ব্যক্তিত্ব পরীক্ষা বলতে চাকরি প্রার্থীর ব্যক্তিগত অবস্থা যাচাই করাকে বোঝায়। এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তির নৈতিক মূল্যবোধ, পছন্দ-অপছন্দ, অভ্যাস, রুচি, আচার-আচরণ, আবেগ-অনুভূতি, সহনশীলতা, নমনীয়তা, আত্মমর্যাদা প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা লাভের চেষ্টা করা হয়। ব্যক্তিত্ব পরীক্ষা উচ্চ পদে কর্মী অর্থাৎ নির্বাহী নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বের সাথে যাচাই করা হয়।

প্রশ্ন-১৭. কর্মী নির্বাচনের লক্ষ্যে কেন মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়?

উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় চাকরি প্রার্থীদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট পদের জন্য সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে বাছাই করা হয়, তাকে কর্মী নির্বাচন বলে।

নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পর যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। অনেক সময় লিখিত পরীক্ষা ছাড়াও সরাসরি মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ পরীক্ষার মাধ্যমে সরাসরি কর্মীর জ্ঞান, যোগ্যতা, আচার-আচরণ প্রভৃতি জানা যায়। তাই বলা যায়, কর্মী নির্বাচনের লক্ষ্যে কর্মীর ব্যক্তিত্ব জানার জন্য মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।

প্রশ্ন-১৮. স্বাস্থ্য পরীক্ষা বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কর্মী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কর্মীদের শারীরিক সুস্থতা ও সামর্থ্য পরীক্ষা করাকেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বলে। কর্মীদের শারীরিক সুস্থতা ও যোগ্যতার ওপর তার কাজের দক্ষতা বিশেষভাবে নির্ভর করে। সামর্থ্যবান ও সুদ্ধাস্থ্যের অধিকারী কর্মীরাই প্রতিষ্ঠানের কাজসমূহ সফলভাবে পরিচালনা করতে পারে। তাই কর্মী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।


আরও দেখুন: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্র ১ম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর

আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি ভালো লেগেছে। কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে বা আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্টে আমাদের জানাতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *