পরিসংখ্যান ১ম পত্র ৫ম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর
পরিসংখ্যান ১ম পত্র ৫ম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর: কোনো তথ্যসারি বা নিবেশনের প্রতিটি তথ্যমান থেকে গাণিতিক গড় বা অন্য কোনো কল্পিত গড়ের ব্যবধানের বিভিন্ন শক্তি বা ঘাত এর সমষ্টিকে মোট তথ্যসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায় তাকে পরিঘাত বলে। পরিঘাতকে (মিউ) দ্বারা সূচিত করা হয়। বঙ্কিমতা ও সূঁচলতার সংখ্যাত্মক পরিমাপের সাহায্যে কোনো তথ্যসারি বা নিবেশনের আকৃতি ও প্রকৃতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। পরিঘাতের বিভিন্ন মান দ্বারা বঙ্কিমতা ও সূঁচলতা নির্ণয় করা হয়।
পরিসংখ্যান ১ম পত্র ৫ম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-১. পরিঘাত কাকে বলে?
উত্তর: তথ্যসারি বা ঘটনসংখ্যা বিন্যাসের প্রতিটি মানগুলো থেকে গাণিতিক গড় বা অন্য কোনো ধ্রুবকেরো বিচ্যুতি নিয়ে, ঐ বিচ্যুতির বিভিন্ন শক্তি বা ঘাত নির্ণয় করে তাদের সমষ্টিকে টিটি তথ্যসংখ্যা দ্বারা ভাগ করে যে মান পাওয়া যায় তাদেরকে পরিঘাত বলে।
প্রশ্ন-২. শোষিত বা কেন্দ্রিয় পরিঘাত কী?
উত্তর: কোনো নিবেশনের প্রতিটি মান থেকে তাদের গাণিতিক গড়ের পার্থক্যের বিভিন্ন ঘাত পরিমাপ করে যে পরিঘাত নির্ণয় করা হয় তাকে কেন্দ্রিয় পরিঘাত বলে।
প্রশ্ন-৩. অশোধিত / কাঁচা পরিঘাত কী?
উত্তর: নিবেশনের প্রতিটি মান হতে গাণিতিক গড় ভিন্ন অন্য কোনো ধ্রুবকেরো কল্পিত গড়ের পার্থক্যের বিভিন্ন ঘাত নিয়ে পরিঘাত নির্ণয় করলে যে পরিঘাত পাওয়া যায় তাকে অশোধিত পরিঘাত বলে।
প্রশ্ন-৪. দ্বিতীয় কেন্দ্রিয় পরিঘাত কী?
উত্তর: কোনো তথ্যসারির প্রতিটি মান হতে এর গাণিতিক গড়ের ব্যবধানের বর্গের সমষ্টিকে মোট পদসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায়, তাকে দ্বিতীয় কেন্দ্রিয় পরিঘাত বলে।
প্রশ্ন-৫. মূলবিন্দুর সাপেক্ষে পরিঘাত কী?
উত্তর: কোনো তথ্যসারি বা নিবেশনের মানগুলির বিভিন্ন ঘাতের সমষ্টিকে মোট পদসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায়, তাকে মূলবিন্দুর সাপেক্ষে পরিঘাত বলে।
প্রশ্ন-৬. বঙ্কিমতাঙ্ক কী?
উত্তর: কোনো তথ্যসারির বা গণসংখ্যা নিবেশনের অপ্রতিসাম্যের গাণিতিক পরিমাপকে বঙ্কিমতাঙ্ক বলে।
প্রশ্ন-৭. সুষম গণসংখ্যা রেখা বা নিবেশন কাকে বলে?
উত্তর: যে নিবেশনের গণসংখ্যা রেখা অঙ্কন করোলে প্রাপ্ত রেখার মাঝামাঝিতে অবস্থিত কেন্দ্রিয় প্রবণতার পরিমাপ নির্দেশকারী বিন্দুর ডান ও বাম দিকে রেখাটির দৈর্ঘ্য সমানভাবে বিস্তৃত হলে এবং একটি অপরটির সম্পূর্ণরূপে প্রতিসম ও সর্বসম হলে ঐ গণসংখ্যা রেখাকে সুষম গণসংখ্যা রেখা বলে।
প্রশ্ন-৮. কার্ল পিয়ারসনের বঙ্কিমতাঙ্কের সীমা কত?
উত্তর: কার্ল পিয়ারসনের বঙ্কিমতাঙ্কের সীমা-ও হতে+ও পর্যন্ত। তবে প্রচুরক দ্বারা নির্ণীত কার্ল পিয়ারসনের সূত্রের কোনো সীমা নেই।
প্রশ্ন-৯. ধনাত্মক বঙ্কিমতা কী?
উত্তর: কোনো নিবেশনের গণসংখ্যা রেখাটি যদি সুষম না হয়ে বাম দিকে অধিক উঁচু এবং ডান দিকে অধিক বিস্তৃত হয় তবে উক্ত নিবেশনের বঙ্কিমতাকে ধনাত্মক বঙ্কিমতা বলে।
প্রশ্ন-১০. ঋণাত্মক বঙ্কিমতা কী?
উত্তর: কোনো নিবেশনের গণসংখ্যা রেখাটি যদি সুষম না হয়ে ডানদিকে অধিক উঁচু এবং বামদিকে অধিক বিস্তৃত হয়, তবে উক্ত নিবেশনের বঙ্কিমতাকে ঋণাত্মক বঙ্কিমতা বলে।
প্রশ্ন-১১. সূঁচলতা কী?
উত্তর: সূঁচলতা গণসংখ্যা নিবেশনের গঠন প্রকৃতির একটি পরিমাপ যা গণসংখ্যা রেখার আকৃতি কেমন হবে বা রেখাটি কতটুকু উঁচু সে সম্পর্কে ধারণা দেয়।
প্রশ্ন-১২. সূঁচলতার পরিমাপ কাকে বলে?
উত্তর: যে সংখ্যাত্মক মানের সাহায্যে সূঁচলতা পরিমাপ করা হয়, তাকে সূঁচলতার পরিমাপ বলে।
প্রশ্ন-১৩. নিবেশনের প্রকৃতি নির্ণয়ে পরিসংখ্যানের কোন পরিমাপক ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: নিবেশনের প্রকৃতি নির্ণয়ে পরিসংখ্যানের বঙ্কিমতা ও সূঁচলতা ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-১৪. মধ্যম সূঁচল রেখা কী?
উত্তর: কোনো তথ্যসারির বা গণসংখ্যা নিবেশনের রেখাটি যদি পরিমিত রেখার সমান হয়, তখন তাকে মধ্যম সূঁচল রেখা বলে।
প্রশ্ন-১৫. অনতি সূঁচল রেখা কী?
উত্তর: কোনো তথ্যসারির বা গণসংখ্যা নিবেশনের রেখাটি যদি পরিমিত রেখার তুলনায় অধিক নিচু হয়, তখন তাকে অনতি সূঁচল রেখা বলে।
প্রশ্ন-১৬. মিডহিঞ্জ কী?
উত্তর: কোনো তথ্যসারির প্রথম ও তৃতীয় চতুর্থকের গাণিতিক গড়কে মিডহিঞ্জ বলা হয়।
প্রশ্ন-১৭. পাঁচ সংখ্যার সার কী?
উত্তর: কোনো নিবেশন বা তথ্যসারির সর্বনিম্ন মান (X₁), প্রথম চতুর্থক (Q1), মধ্যমা (Me), তৃতীয় চতুর্থক (Q) এবং সর্বোচ্চ মান (X)-কে একত্রে পাঁচ সংখ্যা সার বলা হয়।
প্রশ্ন-১৮. Box and Whisker plot কী?
উত্তর: পাঁচ সংখ্যার সারের লৈখিক উপস্থাপনকে Box and whisker plot বলা হয়।
আরও দেখুন: পরিসংখ্যান ১ম পত্র ১ম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর
আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি ভালো লেগেছে। কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে বা আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্টে আমাদের জানাতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।